মোঃ শাহিনুর রহমান তানোর, রাজশাহী : সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহীতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। যেখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস সেখানে পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা সাধারণ।পাইকাররা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজশাহীর কালিগন্জ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত রমজানে যে বেগুনের দাম ছিল আকাশচুম্বি সে বেগুন পাইকারি বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় প্রতি মন বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। এবং খুরচা বাজার ঘুরে দেখা যায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজির বেগুন ৮/১০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ এ বিষয়ে বেগুন চাষী মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ দামে বেগুন বিক্রি করায় বাজারে আনা নেয়ার খরচই উটছেনা এবং দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যাপক। একসপ্তাহ আগে যে দেশীয় পেঁয়াজ খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজ মানভেদে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়।
কালিগঞ্জ বাজারের খুচরা বিক্রেতা সুজন মিয়া জানান, প্রতিদিন সকালে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করি। রমজান শুরু থেকেই পেয়াজের দাম কমে আসছে। তাই কম দামে কিনে কম দামেই বিক্রি করি। মঙ্গলবার সকালে মান ভেদে পাইকারি বাজার থেকে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কিনে ৫ টাকা লাভে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।কালিগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, রমজান শুরু হলেই সবকিছুর দাম বাড়ে, এবারও সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু বাজারে এসে দেখলাম পেঁয়াজের দাম কমেছে। পেঁয়াজের মতো অন্যান্য পণ্যের দাম কমলে আমাদের মত সাধারন মানুষের জন্য ভালো হতো।পাইকারি পিঁয়াজ বিক্রেতা হামদুল জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ রাপ্তানি বন্ধের পর থেকেই বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে স্থানীয় কৃষকের পেঁয়াজ উঠা শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।তিনি আরো জানান, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তারপর থেকেই পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে।