স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী শিরোইল কলোনি এলাকায় ১০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় রুপালি বেগম নামের এক মহিলাকে মাধর ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে নারীর দালাল ও পুলিশের কথিত সোর্স আব্দুল আলিমের (৪০) বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত আলিম শিরোইল কলোনি ৩ নং গলির মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশের সোর্স ও নারীর দালাল হিসেবে ব্যাপক নাম-ডাক রয়েছে তার বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।এঘটনায় গত ১৭ মার্চ নগরীর চন্দ্রিমা থানায় আলিম সহ দুইজন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রুপালী বেগম (৪০)। রুপালি বেগম নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন শিরোইর কলোনি এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী।
রুপালি বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, গত ১০ দিন আগে আলিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া শিমলা নামের এক মেয়ের সাথে আমার ছেলে রিমনের বিয়ে হয়। বিয়ের দিন রাতে আমার ছেলেকে কোন কারণ ছাড়ায় মারধর করে এবং তার সাথে ব্যাপক খারাপ আচারণ করে। পরের দিন সকালে আমাদের বাসা থেকে সেচ্ছায় চলে যায় সে। পরবর্তীতে গত ১৭ মার্চ রাত অনুমান ১২টার দিকে আলিম, শিমলা, তার মা বিউটি, কাজলি, দিলারা ও সুমি আমার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে। বাসায় প্রবেশ করতেই আলিম আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে শিমলা আমার ছেলের সংসার করবেনা বলে জানায়। কথা বলার এক পর্যায় আলিম আমার কাছে প্রথমে ১০ হাজার, পরে ৮ হাজার টাকা দাবি করে। না দিলে পরিবারে প্রত্যেকের নামে নারী শিশু আইনে মামলার হুমকি প্রদান করে। এছাড়া আলিমের নির্দেশে শিমলা আমাদের বাসা থেকে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, হাতের বালা ও ৩ ভরি ওজনের পায়ের নুপর নিয়ে যায়। এবাদেও আমার গরু বিক্রির টাকাও নিয়ে গেছে তারা।
এব্যাপারে রুপালি বেগমের ছেলে রিমন জানান, আমার স্ত্রী শিমলার কাজ হচ্ছে বিয়ে করা আর মোহরানার টাকা আদায় করা। এর পূর্বে তার দুটি বিয়ে হয়েছে। তাদের সাথেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। আমি না জেনে বিয়ে করেছিলাম তাকে।
তিনি আরও বলেন, তাদের একটি চক্র রয়েছে, আর এসকল চক্রের মুল হোতাই হচ্ছে আলিম। এর আগেও মাদক ও নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে এলাকার মানুষসহ অনেককেই ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনায় দালাল আলিমের বিরুদ্ধে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহীনিদের।
রিমন বলেন, থানায় আলিম সহ দুইজন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন আমার মা। অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে আলিম আমাকে এবং আমার মাকে অনবরত হুমকি প্রদান করে আসছে এবং আদালতে আমার পরিবারের সকলকে জড়িয়ে মামলা দিবে বলেও জানায় আলিম। বর্তমানে আমরা নিপত্তাহীনতায় রয়েছি। এছাড়া এ চক্রটির হাত অনেক উপরে। তাদের সাথে না লাগার পরামর্শদেন স্থানীয় অনেকে। আমরা গরিব মানুষ কোথা থেকে পাব এত টাকা।এঘটনায় অভিযোগটি তদন্ত করছেন চন্দ্রিমা থানার এএসআই আল মামুন। আলিমসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজ ইফতেখার আলম বিশাল
২১/০৩/২৪