স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের হাটবাজার ইজারার দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ১২টি হাটের দরপত্র সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১টার মধ্যে দরপত্র বক্সে দরপত্র ফেলার সময় ছিল। সময় শেষে ঐদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত দরপত্র বাক্সটি সিলগালা করে রাখা হয়। এরপর বিকেল ৩টায় পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত উপস্থিত থেকে সকল দরদাতার উপস্থিতিতে দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করেন।
এসময় কমিটির প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসা: আরজিয়া বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তন্ময় কুমার সরকার।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাঈদ আলী মোরশেদ, জেলা পরিষদের সদস্য তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক, পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাহিমা বেগম সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ১৭ জন দরদাতার উপস্থিতিতে সিলগালা দরপত্র বাক্সটি উন্মুক্ত করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে দুইজন দরদাতার তথ্য ও ব্যাংক ড্রাফ না থাকায় তা বাতিল হয়। পরবর্তীতে ১৫ জন দরপত্র দাতার উপস্থিতিতে দরপত্রে দেওয়া মুল্য ঘোষনা করে প্রাথমিকভাবে সঠিক বলে বিবেচিত হয়।
উপজেলার ১২টি হাটের মধ্যে সর্বোচ্চ দরকৃত খড়খড়ি হাট। এই হাটের ৭০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন মেহেদী হাসান মন্টু। এরপরে দামকুড়া পশুর হাট। যার ৩৬ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন রেজাউর রহমান, ৩১ লাখ টাকার বড়গাছী হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন এমদাদুল হক।এছাড়াও সাড়ে আট লাখ টাকায় দামকুড়া তোহা হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন পিয়ারুল ইসলাম, ১২ লাখ ২২ হাজার টাকার দারুশা হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন মাহাবুল ইসলাম, ছয় লাখ টাকার পারিলার রামচন্দ্রপুর হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন এমদাদুল হক, তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকায় মড়মড়িয়া হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন সামশুল মন্ডল, এক লাখ ১৫ হাজার টাকার হরিপুর হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন রবিউল ইসলাম, সাড়ে ৯১ হাজার টাকার গোপাল হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন নুরুল ইসলাম, ২২ হাজার টাকায় পারিলা হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন মাসুদ রানা। তবে ডাইঙ্গের হাট ও বিলনেপালপাড়া হাটের কেহ দরপত্র জমা দেননি।