স্টাফ রিপোর্টার : ঘড়ির কাটা তখন বেলা ৩ টায়, চুলায় জ্বলছে কাঠ-খড়িতে আগুন । প্রতিদিনের মতো হাড়িতে বসানো হয়েছে গরুর মাংসের তেহেরী । সারাদিন রোজা রেখে যা খেয়ে ইফতার করবেন শতশত রোজাদার । আর হাত তুলে দোয়া করবেন ইফতার দাতার জন্য, তাতেই যেন প্রশান্তি খুঁজে পান মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক আজিজুল আলম বেন্টু ।
নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও আত্মতৃপ্তির স্বাদ মেটাতে দীর্ঘ এক যুগ ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়েছেন তিনি। বার বার পরিচয় দিয়েছেন মানবিকতার । তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসজুড়ে খুলে বসেছেন ইফতার খানা । যেখানে শ্রেণি-পেশার ভেদাভেদ ভুলে প্রতিদিনই ইফতার করেন শতশত মানুষ।ইফতার সামগ্রী তৈরি থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত এতে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন তারই তৈরি সামাজিক সংগঠন আমরা নতুন প্রজন্মের তরুণ সদস্যরা। স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে সাথে তিনি নিজেও দিচ্ছেন শ্রম । তৈরি এসব ইফতার ভাগ হয় দু-ভাগে। এক ভাগ যায় নগরীর হড়গ্রাম মুন্সীপাড়ায় অবস্থিত তার ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি বাইতুল আমিন জামে মসজিদে আরেক ভাগ রাখা হয় আমরা নতুন প্রজন্মের কার্যলয়ে ইফতার করতে আসা মেহমানদের জন্য ।
ইফতারের আগে মিষ্টি কন্ঠে চলে কুরআন তিলওয়াত । এরপর বিশেষ মোনাজাতে সবার জন্য করা হয় দোয়া। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
ইফতারের আইটেমে রাখা হয় খেজুর, শসা, পেয়ারা, মালটা, পেঁয়াজু, ছোলাভুনা, বেগুনি, তেহেরী এবং গতবছরে সংরক্ষিত আমের জুস । সূর্যাস্তের সময়ে এখানে আসা রোজাদাররা এসব খেয়ে আত্মতৃপ্তির মধ্য দিয়ে পূর্ণ করেন রোজা।এদিকে, তার সহধর্মিণী নাসিমা আলম লিপি পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে ইফতারে থাকা পেঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা তৈরি করে থাকেন । যা মসজিদে ইফতার করতে আসা মেহমানদের পরিবেশন করা হয় । পাশাপাশি প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন প্রতিবেশীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় তার তৈরি ইফতার ।এসব কাজ একদিকে যেমন আনন্দের, অন্যদিকে উপভোগের জানিয়ে নাসিমা আলম বলেন,
রমজানে আমি সারাদিন এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকি, এগুলো করতে ভালবাসি, শান্তি পাই, ভালো লাগে বলেই তো এতোদিন থেকে করতে পারছি । আর সয়ং আল্লাহ এটা আমাদের করাচ্ছেন।এই মাস রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস জানিয়ে আজিজুল আলম বলেন, ইফতারি একটা ইবাদত যা সাওয়াবের কাজ । নিজে রোজা করা এবং অন্যকে ইফতার করানো সমপরিমাণ সাওয়াবের কথা বলা হয়েছে হাদিসে । সবমিলিয়ে এটা একটা ভালো কাজ আর ভালো কাজ করলে তো আত্মতৃপ্তি থাকেই।তিনি আরও বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সহধর্মিণীরা যদি বিভিন্ন কাজে সগযোগিতা না করে তাহলে এ ধরনের কাজ আমাদের জন্য সহজ হয় না । সেক্ষেত্রে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কারণ, আমার সহধর্মিণী সকল কাজে আমাকে সহযোগিতা করেন । বিশেষ করে ইফতারে থাকা ছোলাভুনা,বেগুনি, পেঁয়াজু আমরা বাইরে থেকে নিয়ে আসি না, এসব আমার সহধর্মিণী বাসার সকলকে সাথে নিয়ে তৈরি করেন।
সূত্র পদ্মা টাইম